হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও গ্রামে মসজিদের ভেতরে জুম্মার নামাজে আসা মুসল্লী এমরুল মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও নিহত পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে নিহতের পরিবার ও সচেতন নাগরিক মহলের আয়োজনে নবীগঞ্জ উপজেলার বনগাঁও নতুন জামে মসজিদের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে নিহতের চাচা কাজল মিয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- নিহতের বাবা সুনাহর মিয়া, বড়ভাই নজরুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির সভাপতি সাদ্দক মিয়া, বনগাঁও গ্রামের আয়াত উল্লা, আবু সামা সবুজ, মাছুম মিয়া সহ অনেকে।

নিহতের বাবা সুনাহর মিয়া বলেন, আমার ছেলেকে আল্লাহর ঘরের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আজও পর্যন্ত হত্যাকারীদের ধরা হয়নি- এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই, অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। আমার পরিবার এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

নিহতের বড়ভাই নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা দিনের পর দিন থানা-প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছি, অথচ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখতে পাচ্ছি না। যদি অপরাধীরা দ্রুত ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে, তাহলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় দাঁড়াচ্ছে? আমরা এ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায়বিচার চাই।

মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেন, মসজিদের মতো পবিত্র স্থানে খুন হওয়ার পরও যদি অপরাধীরা ধরা না পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? প্রশাসনের নির্লিপ্ততা প্রকারান্তরে অপরাধীদের উৎসাহিত করছে। দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে আরও কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।

বক্তারা আরও বলেন, এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সমাজে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখনই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে।

মানববন্ধন শেষে বক্তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে খুন হন ইমরুল মিয়া।